
এমন একটা মেয়ে চাই যে ধর্মভিরু। ইসলামের অনুশাষণ মেনে চলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিচ্ছিন্ন। যার শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য্য নয় থাকতে হবে মনের সৌন্দর্য্যও। বিয়ের জন্য পাত্রি হিসেবে এমন গুনাবলীর মেয়েই পছন্দ সেনেগালিজ তারকা ফুটবলার সাদিও মানের। তার এমন ঘোষণার পর অনেকেই এগিয়ে এসেছেন শর্ত পূরণ করে মানের বউ হতে। ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলা যত মুসলিম ফুটবলার আছে তাদের মধ্যে ইসলামের প্রতি প্রেম একটু বেশি সাদিও মানের।




প্রায়ই ইসলামিক কার্যক্রমে দেখা যায় সেনেগালিজ ফুটবলারকে। নামাজ পড়েন, রমজানে রোজা রেখে ফুটবলও খেলেন। লিভারপুল থেকে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিচ্ছেন অর্থকড়িরও অভাব নেই সাদিও মানের। তবু খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করেন। সতীর্থরা পার্টি করলেও সেখানে থাকেন না মানে। অ্যালকোহল স্পর্শও করেন না। ফুটবল, মানবসেবা আর ইসলামের সেবায় নিজেকে মগ্ন রাখেন তিনি।




এদিকে সাদিও মানের সতীর্থরা স্ত্রী কিংবা বান্ধবিদের নিয়ে প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেন। তবে এ সেনেগালিজ এখানে ব্যতিক্রম। এখনো কোনও জীবনসঙ্গিনী পছন্দ করতে পারেননি সাদিও মানে। কিন্তু কেনো? প্রায়ই এ প্রশ্নটি শুনতে হয় সাদিও মানের। এবার তিনি তার জবাব দিয়েছেন। সাদিও মানে জানিয়েছেন, ”প্রায়ই নারীরা তাকে জিজ্ঞেস করে কেনো তুমি বিয়ে করছো না?




আমি তাদের বলি তোমরা সময় নষ্ট করছো। আমি সেই নারীকে বিয়ে করবো যে কোনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে না। অর্থাৎ ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক, টুইটার কিছুই না। আমি এমন নারীকে বিয়ে করবো যে আল্লাহকে সম্মান করে এবং ইবাদত করে। সবারই সঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকে।”




এদিকে সাদিও মানের এ বিবৃতি বেশ সাড়া ফেলেছে মুসলিমদের মধ্যে। সবাই প্রশংসা করছেন, অনেকে কাঙ্ক্ষিত পাত্রীর পরিচয় জানাচ্ছেন। ঘানার এক টেলিভিশন শোতে দেশটির জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক আফিয়া এমপ্রেসো জানিয়েছেন, তিনি সাদিও মানেকে বিয়ে করতে চান। আর তার জন্য সাংবাদিকতার চাকরি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দিতে রাজি। এমনকি ধর্ম নিয়েও তার কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন আফিয়া। তাহলে কি এই ক্রীড়া সাংবাদিককেই জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিবেন সাদিও মানে?




তবে আপাতত ছুটি কাটাচ্ছেন সাদিও মানে। কোন দ্বীপ, রিসোর্ট কিংবা প্রমোদতরীতে নয়, সেনেগালের নিজ গ্রামে যেখানে তিনি বড় হয়েছেন। গ্রামের কাঁদা মাখা মাঠে ফুটবলও খেলেছেন স্থানীয় ফুটবলারদের সঙ্গে। আর মানের গ্রাম জীবন দেখতে ছুটে গেছেন তার আইডল এল হাদজি দিওফ ও নিউক্যাসলের সাবেক তারকা পাপিস সিসে।




Leave a Reply